আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকায় মেশিনে, না.গঞ্জে হাতে

বিশেষ প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জে বর্জ্য পরিস্কার এখনও আধুনিক রূপ পায়নি। সনাতন পদ্ধতিতে পরিচ্ছন্নকর্মী হাত লাগিয়ে ড্রেন পরিস্কার করে। এতে করে যেমন ময়লা তুলতে সময় লাগে তেমনি নিতেও লেগে যায় অনেকটা সময়। বিভিন্ন সময়ে ফুটপাতে ড্রেন থেকে তোলা বর্জ্য পড়ে থাকে কয়েকদিন। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শহরবাসীর। তবে এক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে নারায়ণগঞ্জের পাশে রাজধানী ঢাকায়।

জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন অত্যাধুনিক যন্ত্র জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন ব্যবহার করছে। এই মেশিনের মাধ্যমে ড্রেনের যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা টেনে নিয়ে পানি আলাদা আবার করে ড্রেনে ছেড়ে দেবে। এ যন্ত্রটি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারে। কাজ শেষে এটা এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন গাড়ি চালক প্রয়োজন হয়। এই মেশিনটি পরিচালনা করতে তিনজন কর্মী লাগে। উন্নত বিশ্বের ড্রেন পরিষ্কার ও জলজট নিরসনের জন্য এ যন্ত্র ব্যবহার হয়।

নারায়ণগঞ্জ ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলেও অনেক ব্যবসায়ী দিন শেষে চলে যান ঢাকায়। সেখানেই তারা বাস করেন পরিবার পরিজন নিয়ে। এমন একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী জানান, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফতুল্লায় হলেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি তার। তার মতে, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে প্রযুক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে আছে। এখানে ড্রেন পরিষ্কারের জন্য পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার হয়। এতে করে যেমন লোকবল বেশী লাগে তেমনি সময়ও। আরেক ব্যবসায়ী জানান, অনেক সময় ময়লা তুলে ফুটাতে রেখে দেয়। ওই সময় বৃষ্টি এলে অথবা কয়েক দিন পার হলে ফের সেই ময়লা ড্রেনে চলে যায়। সেই সাথে আশপাশ দিয়ে চলতে গেলে নাকে উদ্ভট গন্ধ লাগে।

তবে ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন ন্যায় অত্যাধুনিক যন্ত্র জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন নারায়ণগঞ্জেও ব্যবহার করলে এসকল সমস্যা কাটিয়ে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও সৌন্দর্য আরও বাড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম সংবাদচর্চাকে জানান, আমরা নারায়গঞ্জের জন্য দেশীয় একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন একটি প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছি। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রের বানানো যান্ত্রিক গাড়ির মাধ্যমে ড্রেনের আর্বজনা ও ময়লা নিষ্কাশন করা হবে। তখন আর অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নকর্মী,অর্থ ও ফুটপাতে কোন ধরেনের সমস্যা থাকবে না। আগামী ৩ মাসের মধ্যে পরীক্ষা মূলক ভাবে এই কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।